ঢাকা, মঙ্গলবার, জানুয়ারী ১৪, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোজেল চাষ,পরিচর্যা ও ব্যবহার নিয়ে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ

রায়হান আবিদ

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম

রোজেল চাষ,পরিচর্যা ও ব্যবহার নিয়ে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ
একটি সম্ভাবনাময় গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ রোজেল। আঞ্চলিক ভাষায় যেটি চুকাই বা চুকুর নামে পরিচিত। অপ্রচলিত এরকম একটি উদ্ভিদের ফুলের বৃতি প্রক্রিয়াজাত করে জ্যাম,জেলি,পুডিং,চাটনী,আচার,চকলেট,চা ও জুসসহ বিভিন্ন মুখোরোচক খাদ্য ও পানীয় উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন ড. ছোলায়মান আলী ফকির। এটিই ছিল চুকুরের পেছনে তাঁর দীর্ঘ সময় ধরে চালানো গবেষণার সুফল। মূলত রোজেলের বৃতিই প্রধান কার্যকরী উপাদান। রোজেল ফুলের মাংসল বৃতি সরাসরি খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। বৃতির উজ্জ্বল লাল রঙ জৈব খাবার রঙ হিসেবেও ব্যবহার করা সম্ভব। বৃতি থেকে জ্যাম,জেলি,চা,আচার,চাটনী,জুসসহ বিভিন্ন পানীয় প্রস্তুত করা সম্ভব। রোজেলের বীজ যখন পরিপক্ব হয় তখন তা আমিষ ও চর্বিতে পরিপূর্ণ থাকে, বিধায় এটা প্রক্রিয়াজাত করে গবাদি পশুর খাবার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে রোজেলের পাতাও ওষুধিগুণে পরিপূর্ণ। তাছাড়াও বৃতির উজ্জ্বল রঙই প্রমাণ করে দেয় এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। রোজেলের বৃতিতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন, ক্যারোটিনয়েডসহ গুরুত্বপূর্ণ এন্টিঅক্সিডেন্টসমূহ। এই বৃতি থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্য ও পানীয় পান করলে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পাওয়াসহ নানান রোগ থেকে মুক্তি মিলবে। তিনি আরও বলেন,একটি রোজেল গাছ থেকে আধা কেজি থেকে দেড় কেজি পরিপক্ক কাঁচা ফল পাওয়া যায়। চার থেকে পাঁচটি গাছই যথেষ্ট একটি পরিবারের চা,জ্যাম,জুস,আচার ইত্যাদির চাহিদা মেটাতে।